Feeds:
Posts
Comments

পাতি লেবু পাতি বুর্জোযাদের মত সাধারণ। কমন লাইম। গন্ধ লেবুর নানান রকমফের, তার দুটো হল কাগজী আর গন্ধরাজ। এ নামের উৎসসন্তানের কি কেউ দিতে পারেন?

ছেলেবেলায় কলম্বা বলে একটা বিখ্যাত গন্ধলেবু উঠত। ঠাকুর্দার সঙ্গে গড়িয়াহাট বাজার থেকে কিনতাম। তারও নামের উৎস জানি না। হয়তো কলম্বো লেবু — শ্রীলঙ্কা সহজাত অর্থে। এ অনুমানের একটা ঐহিত্য ব্যাখ্যা আছে। মায়েরআপ্রাণ চেষ্টারেও কেষ্ট মালির মত গ্রীনফিংগার শা’গন্জ গন্ধলেবুর গাছ বাঁচাতে পারেনি। অথচ আমার এক কর্ণাটক-নিবাস শ্যালিকা তাদের মহিশুরের ফার্মে অযত্নে বেডে ওঠা গাছের উটপাখির ডিমের সাইজের গন্ধলেবু বাডি বযে এসে উপহার দিয়ে গেল। হয়তো পেনিনসুলার ভারতের মাটিতে এমন কিছু আছে যাতে সেখানে হলেও দক্ষিণ বাঙলায় গন্ধ লেবু বাঁচেনা। সে হিসেব কি আরও দক্ষিণ শ্রীলংকার ক্ষেত্রেও খাটে। আলোকপাত চাই।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আগলি নামে কুঁচকানো খোসার এক গন্ধলেবু পেয়েছি। সাযেবদের আগলি মনে হলেও দিব্যি সুন্দর গন্ধ।

apps.apple.com/in/app/zepto-10-min-grocery-delivery/id1575323645

চাহিদা ও সরবরাহ
তিনি বন্য বা পোষা বরাহ নন, তবে লোভ ও দুর্নীতির অন্যতম কারণ।অর্থনীতির এই প্রাথমিক সূত্র সর্বজনবিদিত। সোনা সব জায়গায় পাওয়া যায়না, তাই মূল্যবান।হীরে আরও দুর্ভ, তাই আরও মূল্যবান। তবে কৃত্রিম উপায়ে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যেমন ইলিশ বা পেট্রোলিয়ম। তাও ভেবে দেখেছেন কি যে সবচেয়ে সরবরাহ কম কিসের? সেই কোন যুগে প্রাণ এসেছিল পৃথিবীতে, হয়তো আরও কোথাও কোথাও—অন্য কোনও সৌরলোকে। তারপর বহু প্রজন্ম কেটে গেছে। সব প্রজন্মেরই বাসযোগ্য জায়গা লাগে, জীবনধারণের জন্য কৃষিজমি লাগে। মৃত্যুর পর কবরের জমি লাগে, হাঁপ ছাড়ার জন্য খোলা জায়গা লাগে। জমি তো গ্রহাদির উপরিতল মাত্র। গৃহ তো ইচ্ছেমত গজায় না।শূন্য (আকাশ), নিশ্বাসের বাতাস না হয় দৃশ্যত অফুরন্ত (যদিও কলুষিত), ভূমি কিন্তু ফুরিয়ে গেছে অনেকদিন আগেই। আমরা পূর্বপুরুষের কঙ্কালের ওপর লাঙল চালাই, নতুন কবর দিই। এভাবে কতদিন চলবে?
অন্যদিকে, দেখুন, বাবুদের কিন্তু জমির অভাব এখনও হয়নি। বাবুরা আগে ছিলেন উপেনকে চোখ রাঙানো জমিদার, আজ তাঁরাই এম,এল,এ বা এম,পি বা মন্ত্রী, প্রায়শই একাধিক গার্ল ফ্রেন্ড পরিবেষ্টিত। সেই বরাঙ্গনাদেরও জমির অভাব হয়না।কিন্তু জমির অভাব যে আছে, আমজনতা তা হাড়ে হাড়ে জানে।যাঁরা দেশ চালান তাঁরা জেনেও চোখ বুজে থাকেন।ইকোলজি। সে আবার কি। সেটা মাখলে কি জমির সরবরাহ বাড়বে? বহুতল আবাসনের ইতিহাস পুরনো। হরাপ্পা দ্রষ্টব্য। রোকমান সাম্রাজ্যেও বহুতল ফ্ল্যাটবাড়ি বা ইনসুলী ছিল। আকাশে বা সমুদ্রগর্ভ এখনও মানুষ বসবাস করতে শুরু করেনি। তবে যাব কোথায়? মহাকাশে বাসযোগ্য গ্রহ খুঁজে পেতে হবে, তবে নতুন জমির সরবরাহ বাড়বে।না হলে যবনিকা পতন।

কোনও কারণে,কারণটা আজ মনে নেই, একদিন রাতে আমায় ছোটমার সঙ্গে শুতে হয়েছিল।সে বাড়িতে ঘর ও খাটের অভাব। তাতে কি,পেছনদিকে উঠোনমুখী বারান্দা ছিল, সেখানে …

শীতের এখন তখন

কোনও কারণে,কারণটা আজ মনে নেই, একদিন রাতে আমায় ছোটমার সঙ্গে শুতে হয়েছিল।সে বাড়িতে ঘর ও খাটের অভাব। তাতে কি,পেছনদিকে উঠোনমুখী বারান্দা ছিল, সেখানে মাটিতে উথালি করে বিছানা পেতে আমরা চার ভাই, ছোটমাকে মাঝখানে রেখে শুলাম। গায়েদেবার কাঁথাটা অবশ্য পাথালিকরে রাখতে হল, নইলে অন্তগুলো খদ্দের আঁটবেনা। ছোটমা চমৎকার ভূতের গল্প বলতেন, তাঁর স্বভাবসিদ্ধ খুলনের দখনে ভাষায়।আমাদের পায়ের পাতা, মানে দেবুদা ও আমার, কাঁথার বাইরে, জায়গা নেই বলে,শীত শীতকরছে,তারকতটা ঠান্ডার জন্য, কতটা ভয়ে আজ আর মনে নেই। তখন থেকেই আমার অভ্যেস ছিল, খানিক্খন কাঁথা-লেপ-কম্বল দায় রাখলেই, বালিশের তলায় হাত ঢুকিয়ে ঠান্ডা খোঁজা।একবার সে চেষ্টা করতেই দেবুদা হাঁই মাই করে উঠল।বোধহয় ভাবল, ভূতের গুঁতো। আমার গরম লাগছিল বলে বাঁ হাতটা নিজেরই বালিশের নিচে ঢোকালাম।ও জায়গাটায় শীতলতর অনেক ক্ষণ থাকে,সেই তখনই সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পর, পার্থ বিছানা ভেজাল। ওর বাঁপাশে ছোটমা ডান পাশে শঙ্কু, তারপর আমি। সবাইকে বাঁচিয়ে জলধারণ আমাকেই ভেজাল।আমিও ভিজে গেলাম রা না কেড়ে।

শাগন্জেনয়, বারোকোয়ারটারের বাইরে খামারপাডায় একটা বাডি ভাড়া নিয়ে লুকুকাকা কিছুদিন ছিল। লোকেন্দ্রনাথ বাবার খুডতুতো ভাই। তার মাকে বাবারা বলতেন ছোটমা। দেখাদেখি আমিও। তিনি রত্নগর্ভ। তিন ছেলেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র। একজন, অর্থনীতিবিদ্ সতযেন্দ্রনাথ পরে বিশ্ববিদযালয়ের উপাচার্য হয়েছিলেন। লুকু কাকাও কেমিস্ট্রির পণ্ডিত। পেটের দায়ে শা’গন্জ চাকরি নিয়েছিলেন। তাঁদের অন্য ভাইও ভাল ছাত্র, তাঁরতিন ছেলে দেবু,শঙ্কু ও পার্থ ছোটমার সঙ্গে থাকত। দেবু আমার চেয়ে অল্প বডো, তাও তখনকার রীতিতে তাকে দেবুদাবলতাম। শঙ্কু আমার সমবয়সী।পার্থ তখন খুবই ছোট।নীলু জ্যেঠা?া( সত্যেন) বিবাহিত কিন্তু িঃসন্তান। শান্তি জ্যেঠি,শুনেছি, একদা তাঁর ছাত্রী ছিলেন।

মনে মনে ঠিক করেছি,জল খাবনা, বাথরূম শাবনা। কে যেন হাঁটু চুলকোতে পা তুলল, অমনি ঠান্ডা ঢুকল কাঁতার ফাঁক দিয়ে।এই করেই রাতটাকেটে গেল, কেউ ঠিকমতত ঘুমোইনি।সকাল হতে লুকিয়ে কাকা ডেকে দিল, তাকে তো আপিস যেতে হবে। শান্তি জ্যেঠি আগেই চা করে দিয়েছিলেন। তাতে ছোটমার একটু। জ্জামান হল। একটু বেলায় শম্ভু রিকশায়ালায় বাহন হয়ে বাবা মা কলকাতা থেকেফিরলেন। আমরাও বাডি গেলাম।

আজও আমি প্রবল শীতে পায়ের পাতা গাত্রাবরণের বাইরেবের করে শুই, তাতে সেইভূতের গল্পটা একটু একটু

শান্তিনিকেতন অনেকবার সেরকম এজমালি বিছানায় ঘুমোতে হয়েছে।উথালি পাথালি করে নয়,তবে অনেক রাতে কঙ্করদা মাঝে মাঝে কলকাতা থেকে ফিরতেন। একবার ভর রাতে ভান্ডারীদা এলেন,মনে আছে।তবে অ্যাডভেন্চর হয়নি কোনও।তখনকার কলকাতার শহরতলির শীত আরও বেশি জাঁকিয় পড়ত। ব্যান্ডেল স্টেশনে নেমে রিকশায় জিটি রোডে পড়লেই পায়ের গুল জমে যেত। সার্ভ স্কুল পেরুলে তো নর্থ পোল।

Nabaneeta debSen

আজ সন্ধ্যায় ভারত-বাংলাদেশের ২য় আন্তর্জাতিক টি ২০-র খেলা দেখছিলাম, এমন সময় নবনীতার প্রয়াণ সংবাদ পেলাম।
সম্পর্কে নবনীতা আমার মামী কিন্তু তার চেয়ে ঢের আগে থেকে নরেন্দ্র দেব-রাধারানি- নবনীতা আমাদের প্রতিবেশী। আমাদের ঠিকানাও বিখ্যাত ছিল একদা। ২০২, রাসবিহারী এভিনিউতে ফ্ল্যাট নং ২ আর ৩-এ থাকতেন বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্ত। আমার ঠাকুর্দা ছিলেন অন্য বাডিটার ৫ নং ফ্ল্যাটে। আমাদের বাডি থেকে বডো রাস্তায় বেড়িয়ে বা-দিকে গেলে ফুটপাথ যেখানে শেষ হয, সেখানে এখন পান্জাবী স্টোর্স। সেখান থেকে আবার বাঁ-কে ঘুরে একটু এগুলোই ছিল বাঁ-হাতে জ্যোতিবাবুর বাডি, ডানদিকে নরেন দেবের “ভালো-বাসা”। ওই রাস্তায বন্ধের দিন আমরা ক্রিকেট খেলতাম।আমরা মানে পাপ্পা (শুদ্ধসত্ত), লব-কুশ, নাচ্চু আরও কয়েকজন; একবার চন্দনও খেলেছিল। বল কোনও গতিকে জ্যোতিবাবুর বাড়িতে ঢুকে গেলে আর ফেরত পেতাম না। কিন্তু ভাল-বাসায় ঢুকলে জল-বাতাসাও পেতাম— রাধারানিদেবী আর নবনীতার দাক্ষিণ্যে।
বাবলুমামা যখন নবনীতাকে বিয়ে করল, তখন নেমন্তন্নও খেয়েছি।সেটা জল-বাতাসার উপরি।
১৯৫৯-সালে, যখন নবনীতার প্রথম প্রত্যয় বেরোয়, জ্যেঠার কবিতা-প্রীতির দৌলতে সেটা আদ্যোপান্ত পডে ফেলেছিলাম। ঘটনাচক্রে সুশীল রায়ের ধ্রুপদী পত্রিকায় যখন আমার “একান্ত স্বগত” শিরোনামে একটা কবিতা ছাপা হয়, সেই সংখ্যাতেই নবনীতার একই নামে একটা কবিতা জমা পড়েছিল। সুশীল রায় তার নাম টা পালটে “একান্ত ব্যক্তিগত” করে দিয়েছিলেন, নিজেই।
নবনীতার সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা হত অমিতাদির প্রতিচী বাড়িতে, ৭ই পৌষ বা দোলের সময়।
শান্তিনিকেতন গেলে নবনীতা সাবেক শ্বশুরবাডিতেই উঠত। চিরকালই শ্বশুরবাডির সঙ্গে ওর সম্পর্ক ভাল ছিল।
আমাদের শেষ চাক্ষুষ দেখা হয় একটা বিয়ে বাড়িতে, দীপুদাও সঙ্গে ছিল সেদিন।
আমরা যারা চল্লিশের দশকের কবিতা পডে বডো হয়েছি, তাদের কবিতা-রুচির মানটা যেখানে বাঁধা ছিল, সেখান থেকে নবনীতার কবিতা ভালো লাগা শক্ত। আমি ওর কবিতার ভক্ত ছিলামনা, তবে ওর রম্য গদ্য ছিল উঁচু মানের। ওর ভালোবাসার বারান্দা পড়ার জন্য ফি শরবিবার প্রতিদিনের মত অখাদ্য দৈনিক রাখতাম।
১৯৭৬-এ যখন বিলেত যাই, বাবলুমামা তখন কেন্টিশ টাউনের একটা বাড়িতে থাকে। অনেক কাঠখড় পুডিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম একটা উইক-এন্ডে। এভা তখন বাবলুমামার স্ত্রী, এবং সন্তান সম্ভাবনায় স্ফীতোদরা। নবনীতার জন্য তখন একটু কষ্ট হয়েছিল।
যাতায়ত ছিলনা, কথাবার্তা হতনা,তবুও। নটী নবনীতা ছিল আমার পছন্দের লেখিকা।
আজও খবরটা পেয়ে কষ্ট হল।

জায়গাটা হুগলির শ্রীরামপুর, উইলিয়াম কেরি রোড। বাডিটা পুরনো, জরাজীর্ণ।তখন আমাদের কারখানার অফ.ডে ছিল সোমবার।শীতকাল, এক বন্ধুর নিমন্ত্রণে আমি সুবীর ও জয়দীপসন্ধ্যে নাগাদ পৌঁছলাম। দুতিন পাত্তর কল্যাণী ব্ল্যাক লেবেল এড়াবার পর আমরা শোবার জায়গা দেখতে গেলাম– দুটো আলাদা ঘর, পাশাপাশি।গেরাজে ওপর– বেশ বডো গেরাজ বোধহয় একদা ঘোড়ার গাড়ি থাকত।দুটো ঘর, কিন্তু বাথরূম একটাই, তাও একটা প্যাসেজ পেরিয়ে। মন্টু টর্চ দিয়ে পৌঁছে দিল। প্যাসেজের একটা টেবিল থেকে দুটো হারিকেন তুলে নিয়ে আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, সারা রাত জ্বলুন, নইলে ভয পেতে পারিস, এক উইংটায বিজলি নিইনি। গেস্ট এখানেই থাকেন। বাবা-মা ভয পান্নার কিন্তু দিদিভাই-জামাইবাবু রাতে থাকতে চায়না। আমি নিজে কখনও কিছু ফীল করিনি।

ভয পেলে চেঁচিয় ডাকিস কিন্তু। চমৎকার অভ্যর্থনা! রাতের খাবার খে নিয়েছিলাম। তাই বিনা বাক্যব্যযে কম্বল টেনে শুয়ে পড়লাম।আমি আর জয়দীপ উত্তরের ঘরে, সুবীর দক্ষিণের।আমাদের ঘরের দরজা খুললেই সামনে বাখরূমের দরজা। সুবীরের ঘরের দরজাটা ফুট দশেক দূরে। জযদীপ একটা বই বের করল, আমার হাতেই ছিল Earth is Room Enough নামের একটা কল্পবিজ্ঞানের অ্যান্থোলজি। সুবীরও কিছু পড়ছিল নিশ্চয়ই।

চার্লস বা বযেলসাহেব কিছু লিখে জাননি, তবে এতটা বিয়ার ব্ল্যাডারে প্রচুর চাপ সন্ধার করে, রেতের বেলায় এবং ভয়ের বাড়িতে আরও বেশি। আমি লন্ঠন হাতে ব্ল্যাডার খালি করতে যাব, তার জন্য জযদীপের অনুমতি নিলাম। কমোডটা পূবের দেওয়ালে। তার পেছনে একটা গা ছম ছম জানলা। সেখান থেকে পূব বাগানের আলো-আঁধারি দেখা যায়।যখন ঘরে ফিরে আসছি, তখন চোখের ওপর একটা ছায়া দ্রুতবেগে সরে গেল।ভয পাইনি, বলতে পারব না। কিন্তু গলা দিয়ে আওয়াজ বেরুল না। কিন্তু দরজাটা দেখলাম জয়দীপ ভেতর থেকে ছিটকিনি দিয়ে রেখেছে। শিকলবাহ কয়েকবার নাচাতে ভেতর থেকে ছিটকিনি তুলল সুবীর। খুলেই বিরক্ত গলায় বলল, এত জ্বালাও কেন?

আমার বাক্য সরল না। লন্ঠনটা উঁচু করতে দেখি, সুবীর নয,জযদীপও নয়, একটা দাডিওযালা সাহেব।তার চুল প্রায নেই কিন্তু দাড়ির রং অবার্ন।”আমার বাংলায তোমরা কি করিতেছ? তোমরা কাহারা?”

সাহসে ভর করে আমি শুধোলাম, “আপনি কে?”

“আমি ফা়দার শ্মিড্ট্ গির্জার প্রধান পাদ্রি।”

জয়দীপ শুধাল, “কোন সাল?”

সাহেব বললেন,”তাতে তোমার কি?” কিন্তু তাঁর নজর দেওয়ালের একটা তাকের একটা বইতে আটকে গেল।পরে দেখলাম বইটা হল Almanac of the Baptist’s Mission Church of Serampore, 1777.

আমাদের গলা শুনে ততক্ষণ সুবীরও এসে উপস্থিত। সে আসতেই লাল দাডি পাদ্রি শূন্যে মিলিয়ে গেল।

The older residents of the eastern seaboard were in the habit of naming everything that they saw. The rivers that drained to the Bay of Bengal had a thousand distributaries each and each had a name, as if that served a very important purpose. There was also one called নিরবধি, that meant Eternal though it was, in fact, a highly seasonal one. It’d dry up towards the end of the month of Jaishtha (May-June) with the bed all cracked up. All the tiny crustaceans and the folk who depended on trapping them for sales were in equal consternation. There wasn’t any Titas in these parts, but there were many new and unknown names. The islands were bordered by mangrove bushes (হেঁতাল). The mangroves prevented the isles from drowning in high tide and harboured many species of marine life. The river also provided the thirst quenchers for those who inhabited the isles, though rather unhealthily for the human species.

The odd canoes (ডিঙি) could be found, upended and left on the land to dry. They never tethered bigger boats in the delta lest they’re damaged by tidal banging. Venomous snakes sneaking into them was a far greater peril, for most water snakes were venomous and much given to unprovoked biting. Alongside the drying dinghies, bits and pieces of rudely shaped planks meant for boat-building were also set out for drying and soaking in the salt water several times till they were properly seasoned and would bend no more. The isles were inhabited by more snakes and big cats than humans. On the mainland shores there were scattered brick buildings, some of them meant to be administration offices of the bhuniyas (ভুঁইযা) who theoretically owned them on behalf of the nawabs; the ownership was far more apparent when it came to tax collection, whether their tenants had any income or not. Income was unlikely for even if they caught fish, there wasn’t any infrastructure to preserve the fish or to carry them to the market-place, for the markets were all too far.

The many cataclysms that involved water, fresh or salt, had taught men not to build too close to water-bodies.

The nonmeeting was not held at Delhi but inside my own head. After the 2019 Loksabha electoral debacle. We,the voters have lost our confidence in the electoral process. The Indian national Congress has lost the electoral test. The united left has lost face and dedicated voters. The TMC has lost everything and Bengal has lost her pride.

The resolutions

1) major changes are needed in the existing electoral system to avoid a repeat.

2) The very idea of electoral democracy is that there would be two major parties of near equal strength. That both the parties would fight the election in accordance with the laid down rules without tarnishing the constitution in any manner. And any attempt to even up by allowing coalitions–per-or post–poll is fraught with dangers of horse-trading, defeating the purpose of democracy.

3) Any game between two parties need a set of umpires/referees/ line judges,and a level playing field. It assumes that the vote-seekers will always speak the truth and that the officers under them would have stainless steel spines. But we all know from personal experience that they aren’t truthful or erect. Money, like aqua Regina, can dissolve all resolves and spines.

4) when we have to show dozens of certifications, would be politicians go scot free with whatever declarations they make. It is unfair to burden such un(der)qualified representatives with so much responsibility. Divide their functions into two parts: (a) strictly functional and (b) ideological and policy-related. The first set may continue to work under the duly elected PM, and the second under the duly elected leader of the opposition. If the leader of the opposition is not preferred by many, the President may oversee it, provided the electoral college doesn’t consist of the ruling party representatives.

5) abolish all forms of protection to individuals or groups, including parties. No reservations. Meritocracy only.The seemingly sole exception shall be that half the seats must be contested by women of any party.

6) Abolish only geography based seats. It can’t be done away with altogether,but we can’t afford to let the PM or OL choose misfits. Without any disrespect, that Aruna Irani was chosen to be the HRD minister, wasn’t based on her own judgement. The minimum qualifications for each ministerial post shall be pre-decided with common consent and not negotiable. We can’t afford to have another disastrous note and I, nor another asinine bragging on matters of defence. If a party can’t find suitable candidates, it can’t contest in those key positions.

7) our constitution envisages India as a secular nation. It must be adhered to unless the constitutional provisions are modified with 2/3rds majority.

8) the politicians had always tried to subvert anti-fence lumping laws. Nani chalega..